রংপুর জাহাজ কোম্পানীর মোর থেকে সাত মাথা রোডে রাস্তা চলাচলে বেড়েছে দুর্ভোগ। রাস্তা সংস্কারে গত ২৫ মে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ডিও লেটার পাঠান রংপুর-৪ আসনের এমপি ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তবে এক মাসেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ এবং রংপুরের গঙ্গাচড়ার মধ্যে যোগাযোগ সহজ করতে মহিপুর এলাকায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতু (বর্তমানে গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের দীর্ঘ চার বছর পর চলতি বছরের শুরুতে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়। এর পর বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে পাথরবোঝাই ট্রাক চলাচল করছে রংপুর-গঙ্গাচড়া সড়কে। এতে সেতুর উত্তরে অ্যাপ্রোচ সড়কের বিভিন্ন স্থান দেবে গেছে। সেতুর দক্ষিণে রংপুর-গঙ্গাচড়া সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে।
রংপুর-গঙ্গাচড়া সড়কের মেডিকেল পূর্ব গেট ও পাকার মাথা এলাকায় গিয়ে বড় বড় গর্ত দেখা যায়। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে গর্তগুলো ডুবে থাকায় যানবাহনসহ পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এক ঘণ্টা অবস্থান করে কয়েকটি গাড়িকে গর্তে পড়তে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা ঠেলে সেটি যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। বিপদ এড়াতে স্থানীয়রা পাকার মাথা এলাকায় সড়কে লাল পতাকা টানিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করেছেন। তার পরও ঘটছে দুর্ঘটনা। একই অবস্থা মেডিকেল পূর্ব গেট এলাকায়ও। পথচারীদের অভিযোগ, একে তো পুরোনো সড়ক, তার ওপর পাথরবোঝাই ট্রাক চলাচল করায় সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।
সম্পাদক-মো. আজগার আলী | বাড়ি নং-৪০, রোড নং- ০১, জীবন বীমা মোড়, গুপ্তপাড়া, রংপুর | বার্তা বিভাগ-uttoranchalnews@gmail.com
© উত্তরাঞ্চল.কম সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | Developed BY Rafi It Solution