• ঢাকা
  • শনিবার, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ২২ নভেম্বর, ২০২৩

৫ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক ডাকসাইটে নেতা

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

ঘোষণা হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। সেই মোতাবেক রাজনৈতিক দলগুলো মনোনয়ন ফরম বিক্রিও করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ৫ সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর আসনে নির্বাচনের জন্য একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন কিনেছেন। তারা সবাই রংপুর বিভাগের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্য।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ফের ওই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান।

পঞ্চগড় জেলার বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৯৪৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬১ জন। এই আসনটিতে নূরুল ইসলাম সুজন ছাড়া আর কেউ মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেননি। তবে ওই আসনে আওয়ামী লীগের অন্য কোনো প্রার্থী না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আরও দুজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে বলে জানা গেছে।

রংপুর-৪ আসন থেকে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৯৮ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৮৪১ জন। এবারের নির্বাচনে তাকেও নিজ দলের বেশ কয়েকজন ডাকসাইটে নেতার সঙ্গে মনোনয়ন যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৮ নেতা মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল, কাউনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, বিশিষ্ট আইনজীবী রফিক হাসনাইন, ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন বেশ শক্তিশালী প্রার্থী।

কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত লালমনিরহাট-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।

তিনি আগেরবারের মতো এবারও এই আসনে নির্বাচন করার জন্য দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ১ হাজার ৬৫৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১ হাজার ৫০৬ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ১৫১ জন। এই আসনে নুরুজ্জামান আহমেদের বিপরীতে আরও ১০ জন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন তার ভাই কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল হক, যুবলীগ নেতা নজরুল মৃধা, স্থানীয় দলগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ বাবুল, আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েশ ফারুখ, আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল হক ও মমতাজ উদ্দিন শান্ত প্রমুখ।

ফের নির্বাচন করার জন্য দিনাজপুর-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন।

আসনটি মোট ভোটার ৩ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৬ জন। এ আসনে খালিদ মাহমুদ ছাড়াও আরও দুজন দলীয় নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন। নির্বাচনে তাকেও অন্যান্য দলের প্রার্থীর সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই জয়ী হতে হবে বলে মনে করেন দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

কুড়িগ্রামের রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম-৪ আসন। জাকির হোসেন বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৭৭৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৮ হাজার ২১২ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৬৭জন। ওই আসন থেকে এবার ১৫ জনেরও বেশি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ছক্কু মিয়ার বড় ছেলে রংপুর আইন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাজেদ হোসেন তোতা, আওয়ামী লীগ নেতা হাসান পলাশ বিপ্লব, রেজাউল করিম মানু, রহিমুজ্জামান সবুজ, রেজাউল করিম লিটু প্রমুখ। নদী ও চরাঞ্চলবেষ্টিত এই আসনে এবার তার জয়ী হওয়া খুবই কষ্টকর।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এবার এই আসনে আওয়ামী লীগের টিকিট কে পাবেন তা নিশ্চিত নয়। ফলে শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন দলীয় মনোনয়ন পেলেও তার বিরুদ্ধে দলের বেশ কয়েকজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সার্বিক বিবেচনায় রংপুর বিভাগে ৫ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী দলের মনোনয়ন পেলেও সহজভাবে জয়লাভের সম্ভাবনা নেই। এজন্য নতুনদের সঙ্গে লড়তে প্রচুর ঘাম ঝড়াতে হবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমার শেষ দিনও ছিল গতকাল মঙ্গলবার। চার দিনে মোট ৩৩৬২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে দলটি। এর মধ্যে অনলাইনে ১২১ জন ফরম কিনেছেন। এতে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় হয়েছে দলটির।

দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানান, আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রশাসনিক বিভাগ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট বুথ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৩২৪১ জন। বাকি ১২১ জন অনলাইনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

মনোনয়ন ফরম বিক্রির চারদিনে (১৮-২১ নভেম্বর) কার্যালয় থেকে ঢাকা বিভাগে ৭৩০টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৫৯টি, সিলেট বিভাগ ১৭২টি, ময়মনসিংহ বিভাগ ২৯৫টি, বরিশাল বিভাগে ২৫৮টি, খুলনা বিভাগে ৪১৬টি, রংপর বিভাগে ৩০২টি ও রাজশাহী বিভাগে ৪০৯টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। সংবাদ সুত্র ঢাকাপোস্ট ডটকম।

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন